অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃনা যেন তারে তৃণসম দহে।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃনা যেন তারে তৃণসম দহে। এবং আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
[আজকের এই ব্লগে ২ টা ভাব-সম্প্রসারণ এবং কয়েকটা প্রশ্ন-উত্তর রয়েছে।]
ভাব-সম্প্রসারণ কাকে বলে?
উত্তর: কোন কবিতা বা গদ্য রচনার অংশকে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করাকে ভাব-সম্প্রসারণ বলে। কবিতার বেলায় সেই সব পঙক্তির ভাব-সম্প্রসারণ ধরকার হয়, যেগুলোর মধ্যে সু-নির্দিষ্ট কোন বক্তব্য থাকে।
![]() |
| ভাব-সম্প্রসারণ কাকে বলে? |
ভাব-সম্প্রসারণ কিভাবে লিখতে হয়?
ভাব-সম্প্রসারণ লেখার নিয়মঃ
ভাব-সম্প্রসারণ লিখার বেশ কিছু নিয়ম আছে। তার মধ্যে থেকে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলো তুলে ধরলাম।
1. ভাব সম্প্রসারণকে প্রধানত ৩টি অংশে ভাগ করা যেতে পারে।
- ভাবের অংশ
- ভাবের ব্যাখ্যা
- ভাবের তাৎপর্য
2. ভাবের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তি দেখাতে হবে, উদাহরণ দিতে হবে, তুলনা করতে হবে।
3. প্রয়োজনে সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
4. ভাব-সম্প্রসারণে আলাদা কোন শিরোনামের দরকার হয় না!
5. কমবেশি ২০০ শব্দ অথবা ২০টি বাক্যের মধ্যে ভাবসম্পসারণ সীমিত থাকা উচিত।
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃনা যেন তারে তৃণসম দহে।
মূলভাব: যে অন্যায করে এবং যেই সেই অন্যায় সহ্য করে, তারা উভয়ে সমান অপরাধী- উভয়ে সমান ঘৃণার পাত্র।
ভাব-সম্প্রসারণ: আইনের দৃষ্টিতে অন্যায় কারীকে অপরাধী মনে করা হয়! তাই তার জন্য শাস্তির জন্য বিধান থাকে। আবার অনেক মানুষ আছে তারা সরাসরি অন্যায় করে না, কিন্তু কিন্তু পেছন থেকে অন্যায় কারিকে সহায়তা করে বা অন্যায় করতে উৎসাহিত করে। আইনের আওতায় এরাও কখনো কখনো অপরাধী হিসাবে গণ্য হয়। আবার, এমনোও লোক থাকে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অন্যায় করে না, অন্যায় ঘটার সময় শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। আইনের চোখে এদের অপরাধী বলা যায় না। আইনের চোখে অপরাধী না হলেও এই নীরব দর্শকেরাও এক অর্থে অন্যায় ঘটাতে সাহায্য বা সহযোগীতা করে। কেননা, অন্যায় সংঘটিত হওয়ার সময়ে যদি ওই সব নীরব দর্শক যদি সরব প্রতীবাদীর ভূমিকা পালন করতো, তাহলে অন্যায় ঘটতো না। আইনের চোখে হয়তো এরা অপরাধী নয়, কিন্তু বিবেকের দায় থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া যায় না। সমাজ থেকে অন্যায়কে দূর করতে হলে আইনের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিবেকের দায় সম্পন্ন সচেতন মানুষের উপস্থিতিও জরুরি, যারা অন্যায়ের প্রতিবাদে সব সময়ে সোচ্চার হবে, সরব হবে। আপরাধী যাতে অপরাধ করার সুযোগ না পাই, সবাইকে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
অন্যায়কারীকে যথাযতভাবে শাস্তি দিলে অন্যায় প্রশ্রয় পায়না। আবার অন্যায় করতে না দিলে অন্যায়ের ঘটনা ঘটে না। তাতে সমাজ থেকে অন্যায় চিরতরে দূর হয়। তাই অন্যায়কারী, এবং অন্যায়-সহ্যকারী এবং অন্যায়-সহ্যকারী উভয় সমাজে নিন্দনীয়।
মূলভাবঃ ব্যক্তির জীবনাচরণের মধ্যে যা নেই, তা অন্যকে উপদেশ আকারে দেওয়া যায় না। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজেকে তা পালন করে দেখাতে হবে। এর ফলে যাকে উপদেশ দেওয়া হয়, সে তা পালন করতে আন্তরিকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়।
ভাব-সম্প্রসারণঃ কাউকে উপদেশ দেওয়া যত সহজ, উপদেশ পালন করা তার চেয়ে অনেক কঠিন। যে উপদেশ দেয়, সে যদি নিজে তা পালন না করে, তাহলে উপদেশ-গ্রহণকারীন কাছে এর গুরত্ব থাকে না। অন্যদিকে উপদেশ দানকারী যদি সে উপদেশের পালনীয় দিক নিজ জীবনে পালন করে দেখান, তাহলে উপদেশ-পালনকারী উপদেশ পালনের দৃষ্টান্ত পেয়ে যান, যা তার জীবনে সক্রিয় ভাবে প্রভাব ফেলে। সাধারণত ধর্মপ্রবর্তক, ধর্মপ্রচারক, জ্ঞানী ব্যাক্তি বা জীবনে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তদের তরফ থেকে উপদেশ-বানী বর্ষিত হয়ে থাকে। এদেঁর দেওয়া উপদেশ মানুস পালন করতে দ্বিধা করে না। তবে উপদেশ হিসেবে বর্ণিত কথাটুকু তাঁরা নিজেদের জীবনেও অনুসরণ করে কিনা - এ বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে হয়। সমাজে অনেক মানুষ থাকে, যারা উপদেশ দিতে পটু, কিন্তু ওই সব ওই সব উপদেশ তারা নিজেরাই করতে অভ্যস্ত নয়। তখন উপদেশগুলো- উপদেশ পালন করীর কাছে সেইভাবে গ্রহণ যোগ্য হয়ে উঠেনা। উদাহর হিসাবে বলা যায়, কোন একজন লোক নিয়মিত ধূমপান করে, আবার সেই যদি অন্যকে ধূমপান করতে নিষেধ করে, তাহলে তা হাস্যকর উপদেশে পরিণত হয়। তাই কোন একটা ভালো কাজ করতে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার আগে উপদেশ দাতাকেই ভালো কাজটি করতে অভ্যস্ত হতে হবে। তাতে উপদেশ-গ্রহণকারী উপদেশের পাশাপাশি উপদেশ পালনের নজিরও গ্রহণ করতে পারে।
কাউকে উপদেশ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভালো মানুষ সাজার ভান করা খুব সহজ, কিন্তু উপদেশ পালন করা খুব কঠিন কাজ। তবে সেই উপদেশদাতাই সর্বোত্তম, যিনি নিজে যা পালন করেন, অন্যকেও তা পালন করতে বলেন।
আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।
মূলভাবঃ ব্যক্তির জীবনাচরণের মধ্যে যা নেই, তা অন্যকে উপদেশ আকারে দেওয়া যায় না। অন্যকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজেকে তা পালন করে দেখাতে হবে। এর ফলে যাকে উপদেশ দেওয়া হয়, সে তা পালন করতে আন্তরিকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়।
ভাব-সম্প্রসারণঃ কাউকে উপদেশ দেওয়া যত সহজ, উপদেশ পালন করা তার চেয়ে অনেক কঠিন। যে উপদেশ দেয়, সে যদি নিজে তা পালন না করে, তাহলে উপদেশ-গ্রহণকারীন কাছে এর গুরত্ব থাকে না। অন্যদিকে উপদেশ দানকারী যদি সে উপদেশের পালনীয় দিক নিজ জীবনে পালন করে দেখান, তাহলে উপদেশ-পালনকারী উপদেশ পালনের দৃষ্টান্ত পেয়ে যান, যা তার জীবনে সক্রিয় ভাবে প্রভাব ফেলে। সাধারণত ধর্মপ্রবর্তক, ধর্মপ্রচারক, জ্ঞানী ব্যাক্তি বা জীবনে প্রতিষ্ঠা প্রাপ্তদের তরফ থেকে উপদেশ-বানী বর্ষিত হয়ে থাকে। এদেঁর দেওয়া উপদেশ মানুস পালন করতে দ্বিধা করে না। তবে উপদেশ হিসেবে বর্ণিত কথাটুকু তাঁরা নিজেদের জীবনেও অনুসরণ করে কিনা - এ বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে হয়। সমাজে অনেক মানুষ থাকে, যারা উপদেশ দিতে পটু, কিন্তু ওই সব ওই সব উপদেশ তারা নিজেরাই করতে অভ্যস্ত নয়। তখন উপদেশগুলো- উপদেশ পালন করীর কাছে সেইভাবে গ্রহণ যোগ্য হয়ে উঠেনা। উদাহর হিসাবে বলা যায়, কোন একজন লোক নিয়মিত ধূমপান করে, আবার সেই যদি অন্যকে ধূমপান করতে নিষেধ করে, তাহলে তা হাস্যকর উপদেশে পরিণত হয়। তাই কোন একটা ভালো কাজ করতে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করার আগে উপদেশ দাতাকেই ভালো কাজটি করতে অভ্যস্ত হতে হবে। তাতে উপদেশ-গ্রহণকারী উপদেশের পাশাপাশি উপদেশ পালনের নজিরও গ্রহণ করতে পারে।
কাউকে উপদেশ দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভালো মানুষ সাজার ভান করা খুব সহজ, কিন্তু উপদেশ পালন করা খুব কঠিন কাজ। তবে সেই উপদেশদাতাই সর্বোত্তম, যিনি নিজে যা পালন করেন, অন্যকেও তা পালন করতে বলেন।
যদি আপনার আমাদের ব্লগ দেখে ভালো লাগে তাহলে আপনার সব বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন💜
এই দুনিয়া পবিরাব সমাজ সব কিছু আপনার সাথে বেইমানি করতে পারে কিন্তু আপনার জ্ঞান কখনো তা করতে পারে না। আপনার কিছু মূলবান সময় দিয়ে আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়তে পারেন। বেশির ভাগই শিক্ষা মূলক আর্টিকেল।
আরো পড়ুন:-
শেয়ার করুন👇
